ধ্বজভঙ্গ রোগের হামদর্দ চিকিৎসা

ধ্বজভঙ্গ রোগের হামদর্দ চিকিৎসা; জানুন ৮টি কার্যকরি ওষুধের নাম!

ধ্বজভঙ্গ হলো পুরুষের জীবনের একটি জটিল যৌন সমস্যা। একে জটিল বলার কারণ ইহা পুরুষকে দৈহিক মিলন থেকে বিচ্যুত করে ফেলে। যখন কোন পুরুষের লিঙ্গ ঠিক সময় অর্থাৎ যৌন মিলনের সময় উত্তেজিত না হয় তখন তাকে ইরেকটাইল ডিসফাংশন বা ধ্বজভঙ্গ রোগ বলে।

এর ফলে লিঙ্গ যৌন মিলনের ক্ষেত্রে উপযুক্ত হয় না। একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, শতকরা ৯০ ভাগ ক্ষেত্রে ধ্বজভঙ্গের কারণ মানসিক এবং বাকি ১০ ভাগ ক্ষেত্রে পুরুষের ধ্বজভঙ্গের কারণ তার বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা। বর্তমানে এই চিকিৎসায় অনেকেই অস্ত্রোপচারের পথ বেছে নিচ্ছেন। আশানুরূপ ফল ও মাত্রাতিরিক্ত খরচের কথা চিন্তা করে আবার পিছিয়ে পড়ছেন।

আপনি কি প্রাকৃতিক ঔষধ সেবনে ধ্বজভঙ্গ রোগের চিকিৎসা করাতে চাচ্ছেন! তাহলে বিশেষজ্ঞদের মতে আপনি হামদর্দের ঔষধ গ্রহণ করতে পারেন। কারণ হামদর্দের ঔষধ সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া মুক্ত। উপরোক্ত আলোচনা থেকে আপনারা হয়তো নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন আজকের আলোচনার বিষয়বস্তু হামদর্দ এর ধ্বজভঙ্গ রোগের ঔষধ, কার্যকারিতা, সেবনবিধি ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া।

ধ্বজভঙ্গ রোগের হামদর্দ চিকিৎসা; ৮টি কার্যকরী ঔষধ

সাধারণত স্ত্রীর সাথে যৌন মিলনে আংশিক বা সম্পূর্ণ অক্ষমতাকে ধ্বজভঙ্গ বলা হয়। মাত্রাতিরিক্ত বীর্যপাত, অতিরিক্ত পরিশ্রম, হস্তমৈথুন, যৌন অক্ষমতা, যৌন দূর্বলতা, অবসাদ, ক্যালসিয়ামের অভাব ইত্যাদির কারণে ধ্বজভঙ্গ রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এই রোগ নিরাময়ে হামদর্দের কিছু কার্যকরী ঔষধ রয়েছে যা এই রোগ দূর করার পাশাপাশি মানবদেহকে সুস্ব্যাস্থের অধিকারী করে তোলে।

১. নারভেন্ট

নারভেন্ট সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপাদান থেকে তৈরী। যা ধ্বজভঙ্গ রোগ নিরাময়ে বেশ কার্যকরী। এতে থাকা উপকারী উপাদান যেমন: জদওয়ার, খোরাসানী জৈন, আকরকরা, জাফরান, লবঙ্গ, ছোট এলাচ, দারচিনি, যত্রিক, জায়ফল, জুন্দবেদস্তর ইত্যাদি। যা ধ্বজভঙ্গ রোগের লক্ষণ  যেমন:- যৌন দূর্বলতা, স্বপ্নদোষ, দ্রুত বীর্যস্থলন, মানসিক অবসাদ ইত্যাদি দূর করে দেহের সুস্থতা ফিরিয়ে আনে। এই ঔষধ সম্পূর্ণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া মুক্ত। 

কার্যকারিতা

  • নারভেন্ট স্নায়বিক শক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে যার ফলে মানবদেহ ধ্বজভঙ্গ রোগের হাত থেকে রক্ষা পায়। 
  • ইহা যৌনাঙ্গের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে ফলে দ্রুত বীর্যপাত, ধাতু দূর্বলতা, দূর হয়। যার ফলে ধ্বজভঙ্গ রোগ জটিল ব্যধিতে রুপ নিতে অক্ষম হয়।
  • দৈহিক মিলন করার সময় পুরুষাঙ্গের  ফাঁপা অংশে অতিরিক্ত রক্তের প্রয়োজন পড়ে, যা সম্পূর্ণ নারভেন্ট যোগায়। ফলে ধ্বজভঙ্গ রোগের হাত থেকে মানবদেহ রক্ষা পাই। 

সেবনবিধি 

দৈনিক ১-২ টি ট্যাবলেট সকাল ও রাতে খাবার খাওয়ার পূর্বে অথবা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী  সেবন যোগ্য।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া 

নিয়ম মেনে সেবনে এর উল্লেখযোগ্য কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হয়নি। 

২. পেনিটোন 

পেনিটোন পুরুষের বিশেষ অঙ্গের শক্তিবর্ধক হিসেবে পরিচিত। ইহা পুরুষাঙ্গের জটিলতা, যৌন দূর্বলতা, লিঙ্গের বক্র্যতা ইত্যাদি যৌন সমস্যা যা ধ্বজভঙ্গ নামে পরিচিত তা রোধ করে থাকে। এতে রয়েছে আকন্দ, বিরবহুটি, যত্রিক, লবঙ্গ, আকরকরা, জাফরান, জুন্দবেদস্তর, সংখিয়া এবং অন্যান্য উপাদান পরিমাণ মতো যা মানবদেহের যৌন সুস্থতার জন্য বেশ উপকারী। তাই ধ্বজভঙ্গ রোগ নিরাময়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে পেনিটোন তেল যৌনাঙ্গে ব্যবহার করতে পারেন।

কার্যকারিতা

  • পেনিটোন পুরুষাঙ্গের শিথিলতা ও দূর্বলতা রোধে বেশ কার্যকরী। এতে থাকা প্রাকৃতিক উপাদানগুলো পুরুষাঙ্গের শিথিলতা ও দূর্বলতা দূর করে থাকে ফলে ধ্বজভঙ্গ রোগ দূর হয়।
  • পেনিটোন তেল পুরুষাঙ্গে মালিশ করার ফলে লিঙ্গের বক্রতা দূর হয়, লিঙ্গ পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসে। ফলে ধ্বজভঙ্গ রোগ মানবদেহে জটিল আকার নেওয়ার আগেই হ্রাস পায়।
  • এ তেল পুরুষাঙ্গে ব্যবহার করলে লিঙ্গের অসাড়তা, অনুভূতিহীনতা দূর হয়। ধ্বজভঙ্গ রোগ নিরাময়ে এ তেল বেশ কার্যকরী। 

সেবনবিধি 

পেনিটোন তেল রাতে ঘুমানোর পূর্বে ৫-৬ ফোটা পুরুষাঙ্গে দিয়ে হালকা ভাবে মালিশ করতে হবে অথবা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার যোগ্য।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া 

নির্ধারিত মাত্রার ব্যবহারে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হয়নি তবে অতিরিক্ত মাত্রায় ব্যবহার করলে হালকা জ্বালা অনুভূত হতে পারে।

সতর্কতা 

এই ঔষধ টি পুরুষাঙ্গে লাগানো অবস্থায় স্বামী

-স্ত্রী মিলন সম্পূর্ণ নিষেধ। এই ঔষধ ব্যবহারের ফলে পুরুষের ত্বকে বা অন্ডকোষে চুলকানি দেখা দিলে ঔষধের ব্যবহারের সাময়িক বন্ধ রেখে পুরুষাঙ্গে নারিকেল তেল দিলে ফুসকুড়ি ত্বক থেকে সরে যাবে।

৩. নিউটোন

নিউটোন পরস্পরের ক্রিয়া বৃদ্ধিকারী প্রাকৃতিক উপাদানের সমন্বয়ে প্রস্তুতকৃত এক অনন্য ফর্মুলেশন যা যৌন শক্তির প্রকৃত উৎস হিসেবে খুবই পরিচিত। নিউটোনে রয়েছে কায়ফল, রেগমাহী, দারচিনি, হিঙ্গুল, মাজুফল, লবঙ্গ, নাকছিকনী, কস্তুরী, আফিম, রুপা ভস্ন এবং অন্যান্য উপাদান যা মানবদেহের প্রকৃত গতি ফিরিয়ে এনে সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করে। যৌন আকাঙ্খা, যৌন দূর্বলতা, দ্রুত বীর্যপাত, অবসাদ ইত্যাদি ধ্বজভঙ্গ রোগের লক্ষণ ইহা দূর করতে নিউটোন বেশ কার্যকরী। তাছাড়া পেশী ও হারের শক্তি বৃদ্ধি, মস্তিষ্কের শক্তি, ও কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি, রক্ত সরবরাহ উন্নত করে, শক্তিশালী অ্যান্টি- অক্সিডেন্ট হয়ে ফ্রি রেডিকালকে নির্মূল করে। এছাড়া নিউটোন স্নায়ুতন্ত্রকে শক্তিশালী করে ও মনকে প্রফুল্ল রাখে। ইহা শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলের জন্য আদর্শ শক্তিবর্ধক।

কার্যকারিতা

  • নিউটোন শারীরিক দূর্বলতা দূর করতে বেশ কার্যকরী। এতে থাকা উপকারী উপাদান সমূহ মানবদেহের যৌন দূর্বলতা দূর ও যৌন আকাঙ্খা বৃদ্ধি করে ফলে ধ্বজভঙ্গ রোগ মানবদেহ থেকে হ্রাস পায়।
  • ইহা পুরুষাঙ্গের শিথিলতা দূর করে ও লিঙ্গ মজবুত করে ফলে যৌন মিলনে তৃপ্তি পাওয়া যায় ও দ্রুত বীর্যপাত রোধ হয়। এটা ব্যবহারের ফলে ধ্বজভঙ্গ রোগ থেকে মানবদেহ রক্ষা পাই। 
  • এছাড়া পেশী ও হাড়ের দূর্বলতা দূর করতে নিউটোনের ভূমিকা অপরিসীম।

৪. নিশাত

নিশাত একটি নিরাপদ ইউনানী ঔষধ। এতে রয়েছে উপকারী উপাদান যত্রিক, রেগমাহী, সমুন্দর সূর্খ, জায়ফল, জাফরান, রুপা ভষ্ন, জহরমোহরা, জুন্দবেদস্তর, পান ইত্যাদি পরিমাণ মতো। নিশাত সিনথেটিক হরমোন মুক্ত। যারা অক্ষম তাদের জন্য এটি একটি মহৌষধ পরিক্ষিত। নিশাত দ্রুত বীর্যপাত, যৌন অক্ষমতা, যৌন দূর্বলতা রোধ করে ধ্বজভঙ্গ রোগ সারিয়ে তোলে। 

কার্যকারিতা

  • নিশাত যৌন আকাঙ্খা বৃদ্ধি করে। এতে থাকা উপকারী উপাদান সমূহ জৈব রাসায়নিক পদার্থের উৎপাদন নিঃসরণ করে ১-২ মাসের মধ্যে যৌনশক্তি ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করে। ফলে ধ্বজভঙ্গ রোগ মানবদেহ থেকে দূর হয়।
  • এক সমীক্ষায় দেখা গেছে যৌন দূর্বলতা শতকরা ৯০% মানসিক ও বাকি ১০% শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার কারণে হয়ে থাকে। নিশাত এমন এক মহৌষধ যা শারীরিক ও মানসিক উভয় দিক থেকেই  দূর্বলতা দূর করে। ফলে মানবদেহ থেকে ধ্বজভঙ্গ রোগ দূর হয়।
  • নিশাতে থাকা উপকারী উপাদান সমূহ অবসাদ দূর করে ফলে ধ্বজভঙ্গ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।

সেবনবিধি 

সহবাসের ২ ঘন্টা পূর্বে ১-২ টি ট্যাবলেট দুধসহ অথবা রেজিস্টার্ড ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন যোগ্য।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া 

নির্ধারিত মাত্রায় সেবনে উল্লেখযোগ্য কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হয়নি তবে অতিরিক্ত মাত্রায় সেবনে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হতে পারে। তাই অতিরিক্ত মাত্রায় সেবন থেকে বিরত থাকতে হবে।

৫. ফ্রোডেক্স

ফ্রোডেক্স প্রাকৃতিক উপাদানের সমন্বয়ে প্রস্তুতকৃত এক মহৌষধ। এতে রয়েছে আম্বর, সালাজিত, রুমী মস্তগী, পেস্তার তেল, লাল বামন, শাকাকুল মিছরী, মুক্তা, যহরমোহরা, আগর, বংশলোচন, লবঙ্গ, যত্রিক, দারচিনি, শুঁঠ, জায়ফল, উদ ছলীব, ইত্যাদি। যা যৌন দূর্বলতা, মানসিক দূর্বলতা, যৌন অক্ষমতা, দ্রুত বীর্যপাত, লিঙ্গের বক্রতা ইত্যাদি যা ধ্বজভঙ্গ নামে পরিচিত তা নিরাময়ে বেশ কার্যকরী। এছাড়া লিভারের দূর্বলতা ও কিডনির দূর্বলতায় অধিক ফলপ্রসূ। ইহা বাত ও সন্ধি ব্যথা নিরাময়ে ও বেশ উপকারী। যারা ধ্বজভঙ্গ রোগে ভুগছেন, তাদের জন্য শতাব্দীর গবেষণালব্ধ ফ্রোডেক্স অত্যন্ত কার্যকরী। হাজার বছরের অভিজ্ঞতায় প্রকৃতি থেকে থেকে প্রস্তুতকৃত ঔষধি উপকরণ সমৃদ্ধ ফ্রোডেক্স শুধু ধ্বজভঙ্গ রোগে ব্যবহৃত হয় তা নয়, এটি ধ্বজভঙ্গ রোগের পাশাপাশি বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দূর করে। 

কার্যকারিতা

  • ফ্রোডেক্স এ থাকা উপকারী উপাদান সমূহ স্নায়ুদূর্বলতা দূর করে ফলে ধ্বজভঙ্গ রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। 
  • ফ্রোডেক্স গাঢ় গুণগত সম্পূর্ণ বীর্য উৎপাদন করে ফলে মানবদেহে ধ্বজভঙ্গ রোগের কবলে পড়ে না।
  • ইহা নিয়ম মেনে সেবন করলে লিঙ্গোত্থান জনিত সমস্যা রোধ হয়। ফলে  ধ্বজভঙ্গ জনিত সমস্যা থেকে মানবদেহ সম্পূর্ণ  সুরক্ষিত থাকে।
  • ইহা লিভার ও কিডনির সুরক্ষায় বেশ কার্যকরী। এতে থাকা উপকারী উপাদান সমূহ লিভার ও কিডনির দূর্বলতা দূর করে। ফলে মানবদেহে সুস্বাস্থ্য বজায় থাকে।

সেবনবিধি

দৈনিক ১ টি ট্যাবলেট সকাল ও রাত দুই বেলা অথবা রেজিস্টার্ড ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন যোগ্য। 

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া 

নির্ধারিত মাত্রায় সেবনে তেমন কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হয়নি। 

৬. লিবিডেক্স 

লিবিডেক্স প্রাকৃতিক উপাদানের সমন্বয়ে তৈরীকৃত এক মহৌষধ। এতে রয়েছে বিভিন্ন উপকারী উপাদানসমূহ যেমন: যত্রিক, রেগমাহী, সমুন্দর সূর্খ, জায়ফল, জাফরান, জুন্দবেদস্তর ও অন্যান্য উপাদান। এই উপাদান গুলো যৌন দূর্বলতা, স্নায়ু দূর্বলতা, মাত্রাতিরিক্ত বীর্যপাত, পুরুষাঙ্গের শিথিলতা অর্থাৎ যেগুলো ধ্বজভঙ্গ রোগের লক্ষণ হিসেবে পরিচিত তা নিরাময়ে লিবিডেক্স বিশেষ কার্যকরী। ইহা শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ- প্রত্যঙ্গে রক্ত সঞ্চালনের প্রক্রিয়া কে সুসংহত রাখে। বিশেষজ্ঞদের মতে, পুরুষের টেস্টোস্টেরন ও মহিলাদের এস্ট্রোজেন ৩০ বছরের পর থেকে ধীরে কমতে থাকে, লিবিডেক্স উক্ত হরমোনসমূহের পরিমাণ কে বাড়িয়ে তোলে ফলে নারী পুরষ উভয়ের যৌন আকাঙ্খা বৃদ্ধি পাই।

লিবিডেক্স মানবদেহের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জৈব রাসায়নিক পদার্থ যেমন: মিনারেল, হরমোন, অ্যামাইনো এসিড, ভিটামিন এবং অন্যান্য নিউরো ট্রান্সমিটার সমূহের ঘাটতি পূরণ করে থাকে। এর ফলে শরীর এবং মন উভয় ভালো থাকে এবং যৌন বিষয়ক বিভিন্ন ভয় – ভীতি দূরীভূত হয়।

কার্যকারিতা

  • লিবিডেক্স এ পরিমাণুযায়ী কার্যকরী উপাদান সমূহ রয়েছে। যা যৌনাকাঙ্খা বৃদ্ধি করে ও যৌন উদ্দীপনা বাড়িয়ে তোলে ফলে ধ্বজভঙ্গ রোগ মানবদেহ থেকে দূরে থাকে।
  • একটু উত্তেজিত হওয়া মাত্রই অনেকের পুরুষাঙ্গ থেকে পানির ন্যায় এক প্রকার ধাতু বের হতে থাকে যা ধাতু দূর্বলতা নামে পরিচিত ইহা রোধে লিবিডেক্স এর ভূমিকা অপরিসীম। লিবিডেক্স ইহা প্রতিরোধ করে ফলে ধ্বজভঙ্গ রোগ মানবদেহ থেকে দূর হয়।
  • লিঙ্গোত্থান হয়না বলে যারা ধ্বজভঙ্গ রোগ ভেবে ভয় পাচ্ছেন তারা নিয়ম মেনে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী লিবিডেক্স সেবন করতে পারেন। কারণ এতে থাকা উপকারী উপাদানসমূহ  মানবদেহ বিভিন্ন প্রকার যৌন সমস্যা যেমন:- দ্রুত বীর্যপাত, পুরুষাঙ্গ শিথিলতা,শারীরিক অক্ষমতা, মিলনে অনীহা, অবসাদ ইত্যাদি দূর করে। ফলে ধ্বজভঙ্গ রোগের সম্ভাবনা থাকে না। 

সেবনবিধি 

সহবাসের ২ ঘন্টা পূর্বে ১-২ টি ক্যাপসুল দুধসহ অথবা রেজিস্টার্ড ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন যোগ্য।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া 

নির্দিষ্ট মাত্রায় সেবনে উল্লেখযোগ্য কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হয়নি। 

৭. এনডিউরেক্স

এনডিউরেক্স পুরুষের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী শক্তিবর্ধক ঔষধ। এতে ওক, মোটা বচ, জায়ফল, আফিম, পান পাতার রস ও অন্যান্য উপকারী উপাদান রয়েছে। এনডিউরেক্স এর মূল্যবান উপাদান সমূহ একদিকে যেমন টেস্টোস্টেরন নিঃসরণ বৃদ্ধি করে, অপরদিকে স্নায়ুতন্ত্র ও পেশীতন্ত্রের কার্যকারিতা অনেকাংশে বাড়িয়ে তোলে। ইহা যৌন দূর্বলতা, দ্রুত বীর্যপাত, যৌন আকাঙ্খা, লিঙ্গ শিথিলতা ইত্যাদি দূর করে মানবদেহকে ধ্বজভঙ্গ রোগের হাত থেকে রক্ষা করে। 

কার্যকারিতা

  • এনডিউরেক্স শারীরিক ও স্নায়বিক দূর্বলতা দূর করতে বেশ সহায়ক। এতে থাকা উপকারী উপাদান সমূহ মানবদেহের যৌন সমস্যা দূর করে ফলে ধ্বজভঙ্গ জনিত সমস্যা যেমন:- দ্রুত বীর্যপাত, লিঙ্গোত্থান জনিত সমস্যা, যৌন অক্ষমতা ইত্যাদি মানবদেহ থেকে হ্রাস পায়। 
  • অসময়ে বীর্যপাত বা ধাতু দূর্বলতা যা ধ্বজভঙ্গ রোগ নামে পরিচিত। ইহা দূরীকরণে এনডিরেক্স এর ভূমিকা অপরিসীম। 
  • ইহা সঙ্গম পরবর্তী অসাড়তা যা ধ্বজভঙ্গ রোগের লক্ষণ ইহা রোধে বেশ সহায়ক। এতে থাকা উপকারী উপাদান সঙ্গম পরবর্তী অসাড়তা কাটাতে বেশ সহায়ক। 
  • ইহা সেক্সুয়াল অনুভূতি ফিরিয়ে আনে ফলে যৌন জীবন সুখের হয়।

সেবনবিধি 

দৈনিক ২ টি ক্যাপসুল ১-২ বার অথবা রেজিস্টার্ড ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন যোগ্য। 

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া 

নিদিষ্ট মাত্রায় সেবনে কোন উল্লেখযোগ্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হয়নি। 

৮.  জিনটোন

জিনটোন প্রকৃতির শ্রেষ্ঠ উপহার এবং বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও বহুল ব্যবহৃত হারবাল মহৌষধ। এতে রয়েছে প্যানাক্স জিনসেং মূলের স্ট্যান্ডার্ডইজড নির্যাস। যা মানবদেহ কে শারীরিক দূর্বলতা, লিঙ্গোত্থানজনিত জনিত সমস্যা, যৌনাকাঙ্খা হ্রাস, বন্ধ্যাত্ব ইত্যাদি দূর করে মানবদেহকে ধ্বজভঙ্গ রোগের হাত থেকে রক্ষা করে। এছাড়া ডায়াবেটিস, অবসাদ, মানসিক সমস্যা, কর্মক্ষমতা হ্রাস ইত্যাদি নিরাময়ে জিনটোন বিশেষ ভূমিকা পালন করে। 

কার্যকারিতা

  • জিনটোনে থাকা প্যানাক্স জিনসেং মূলের নির্যাস লিঙ্গোত্থান জনিত সমস্যা দূর করে, লিঙ্গের সক্ষমতা ফিরিয়ে আনে ফলে ধ্বজভঙ্গ রোগ মানবদেহ থেকে দূর হয়
  • জিনটোনে থাকা উপকারী উপাদান যৌনাকাঙ্খা বৃদ্ধি করে ফলে ধ্বজভঙ্গ রোগের সম্ভাবনা দূর হয়।
  •  জিনটোনে থাকা উপকারী উপাদান ডায়াবেটিস দূর করে।
  • শারীরিক ও মানসিক সমস্যা দূর করতে জিনটোনের ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

সেবনবিধি 

দৈনিক ১টি ক্যাপসুল সকালে ও রাতে অথবা রেজিস্টার্ড ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন যোগ্য

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া 

নির্দিষ্ট মাত্রায় সেবনে কোন উল্লেখযোগ্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হয়নি তবে অত্রি মাত্রায় সেবনে বমি- বমি ভাব, ডায়রিয়া, মাথাব্যথা, ত্বকে ফুসকুড়ি, অনিদ্রা ইত্যাদি দেখা দিতে পারে। 

ধ্বজভঙ্গ রোগের লক্ষণ 

ধ্বজভঙ্গ রোগের প্রধান উপসর্গ হলো যৌন মিলনের জন্য পুরুষাঙ্গের অক্ষমতা। এ সমস্যা একজন পুরুষের কমপক্ষে ২৫ শতাংশ সময়ে দেখা দিলে সে পুরুষ ধ্বজভঙ্গ রোগের শিকার বলে ধারণা করা হয়। 

পুরুষের যৌন উত্তেজনা একটি জটিল প্রক্রিয়া যার সাথে মস্তিষ্ক, আবেগ, হরমোন, স্নায়ুপেশি, রক্তনালী ও মাংশপেশি জড়িত। এসব তন্ত্রের কোনটির ভারসাম্য নষ্ট হলে ধ্বজভঙ্গ রোগ ঘটতে পারে।

  • যৌন মিলনের সময় দ্রুত বীর্যপাত ঘটে যাওয়া। 
  • লিঙ্গের অসাড়তা দেখা দেওয়ার ফলে যৌন আকাঙ্খা সাময়িক দূর হওয়া।
  • উত্তেজিত হওয়ার পরেও লিঙ্গোত্থান না হওয়া।
  • শুক্রাণু বের হলে তা পানির ন্যায় তরল হওয়া। ইত্যাদি কারণ দেখা দিলে তা ধ্বজভঙ্গের লক্ষণ হিসেবে ধরা যায়।

ধ্বজভঙ্গ রোগের কারণ সমূহ

বিভিন্ন কারণে ধ্বজভঙ্গ রোগের আক্রমণ মানবদেহে হতে পারে। এর লক্ষণ ও প্রতিকার না জেনে অনেকে বাজার থেকে সস্তা দামে বিভিন্ন প্রকার ঔষধ সেবন করে থাকে ফলে পরবর্তীতে এ রোগ মারাত্মক ব্যধিতে রুপ নেয়। তাই আমাদের এই রোগ মোকাবেলা করতে এর সম্পর্কে সঠিক জানতে হবে।

  • মাত্রাতিরিক্ত হস্তমৈথুন করলে লিঙ্গের অসাড়তা দেখা দিতে পারে ফলে ধ্বজভঙ্গ রোগ হতে পারে।
  • কঠিনভাবে পিতা মাতার অনুশাসনের ভিতরে থাকার ফলে ধ্বজভঙ্গ রোগ হতে পারে।
  • কুসংস্কার বিশ্বাসী হওয়ার ফলে মানবদেহে যৌন সমস্যার দেখা দিতে পারে ফলে ধ্বজভঙ্গ রোগ হয়।
  • অকাল বীর্যপাত হওয়ার ফলে আমরা অনেকেই শারীরিক ও মানসিক ভাবে ভেঙে পরি ফলে যৌন দূর্বলতা প্রকাশ পাই।
  • যৌন মিলন সক্ষম হবে কি এই নিয়ে অনেকেই দুশ্চিন্তায় ভোগে থাকেন ফলে যৌন মিলনে অক্ষমতা প্রকাশ পায়। যা ধ্বজঙ্গের লক্ষণ হিসেবে পরিচিত। 

ধ্বজভঙ্গ রোগের ঔষধ কোথায় পাবেন

ধ্বজভঙ্গ রোগের সকল হামদর্দ ওষুধ পেতে হেলদিস্পোর্টস এর অনলাইনে শপে আপনি নিশ্চিন্তে অর্ডার করতে পারেন। বিশেষজ্ঞ ডাক্তার কর্তৃক স্বীকৃত ওষুধ হেলদি-স্পোর্টস ইস্যু করে থাকে। তাই এখান থেকে ওষুধ কিনলে আপনার কোনো ভয় নেই। 

উপসংহার

ধ্বজভঙ্গ কঠিন কোনো ব্যধি নয়। বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক অক্ষমতা এর জন্য দায়ী। এ সমস্যা দূর করতে আমাদের খাদ্যভ্যাসে পুষ্টিকর ও দুগ্ধজাত খাদ্য রাখা উচিত এছাড়া নিয়মিত শরীরচর্চা আমাদেরকে মানসিক ও শারীরিক ভাবে সুস্থ রাখে। ফলে ধ্বজভঙ্গ রোগ মানবদেহে আক্রমণ করতে পারে না। এই চিকিৎসায় ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী হামদর্দ এর ধ্বজভঙ্গ রোগের ঔষধ গুলো সেবন করতে পারেন যা সম্পূর্ণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া মুক্ত।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top